শিক্ষা মানব সমাজের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। ভালো চাকরি প্রাপ্তি, দারিদ্র্যমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা, উন্নত দেশ গঠন, সভ্য জাতি বিনির্মাণ সবকিছুর মূলমন্ত্র হচ্ছে শিক্ষা। বর্তমানে দেশে আগের তুলনায় শিক্ষিতের হার অনেক বেড়েছে। এখন সবাই শিক্ষার গুরুত্ব বুঝেন। পিতা-মাতা নিজের অর্জিত অধিকাংশ সম্পদ সন্তানের লেখাপড়ায় ব্যয় করেন। এস.এস.সি, এইচ.এস.সি পরীক্ষায় সন্তানের জি.পি.এ-৫ অর্জনের জন্য নির্দ্বিধায় টাকা ব্যয় করে যান। তাদেরকে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে ভর্তি করাতে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করেন। আইন, চিকিৎসা বিজ্ঞান, ইঞ্জিনিয়ারিং, বি.বি.এ, এম.বি.এ ইত্যাদি বিষয়ে উচ্চ ডিগ্রি অর্জনের জন্য তাদের বিদেশে পাঠান। কিন্তু এত কিছুর ফলাফল কী? এদেশে প্রয়োজন এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যা সাড়ে চৌদ্দশত বছর পূর্বের শিরক-বিদ‘আত মুক্ত ইসলামকে সমাজে প্রতিষ্ঠা করবে। যে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা হবে সত্য ও ন্যায়ের উজ্জ্বল নক্ষত্র। পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের আদর্শে উজ্জীবিত দুর্জয় কারী। সালাফে-ছালেহীনের আদর্শের ধারক-বাহক এবং ইসলামের বিশুদ্ধ আক্বীদা রক্ষার অতন্দ্রপ্রহরী। একবিংশ শতাব্দীতে ইসলাম বিরোধী যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে। মিথ্যা ও ভ্রান্তি থেকে উত্তরণের ক্ষেত্রে মুক্তিকামী মানুষের আস্থার প্রতীক। প্রগতি ও অবাধ স্বাধীনতার বিষাক্ত ছোবলে আক্রান্ত জনতাকে তারা মুক্তির মোহনায় পৌঁছিয়ে দেবে এবং পাপ-পঙ্কিলতা আর অন্যায়ে নিমজ্জিত জনগোষ্ঠীকে ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় দেবে। এই প্রতিষ্ঠান থেকে লেখক, গবেষক, বাগ্মী বের হবে এবং কুরআন ও ছহীহ হাদীছের পতাকা নিয়ে দেশে-বিদেশে ছুটে বেড়াবে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রতিটি ঘরে ঘরে সত্যিকার ইসলামের দা‘ওয়াত পৌঁছানোর বিরামহীন প্রচেষ্টা চালাবে। তাই শায়খ আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফ এরকমই প্রতিষ্ঠানের স্বপ্ন নিয়ে ২০১৩ সালের ২৪ আগস্ট হাটাব, বীরহাটাব-বিরাব, রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জে এবং ২০১৬ সালের ১৭ ফেব্রয়ারি ডাঙ্গীপাড়া, পবা, শাহমখদুম, রাজশাহীতে মানসম্মত ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে ‘আল-জামি‘আহ আস-সালাফিয়্যাহ’ নামে বালক ও বালিকা শাখা সম্বলিত পৃথক পৃথক দুটি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন।
সম্মানিত সুধী! আমরা মনে করি, উপর্যুক্ত পরিস্থিতি থেকে মুসলিম জাতিকে উদ্ধার করতে পারে একমাত্র দ্বীনী শিক্ষা। কেননা আধুনিক শিক্ষা দুনিয়ায় সমৃদ্ধি আনয়ন করলেও সুখ ও শান্তি সেখানে থাকে সম্পূর্ণ অনুপস্থিত। পক্ষান্তরে, দ্বীনী শিক্ষা একজন মানুষের দুনিয়া ও পরকাল উভয় জীবনকে করে তোলে সমৃদ্ধশালী। মানুষের শারীরিক চিকিৎসার জন্য যেমন ডাক্তারের প্রয়োজন হয়, তেমনি অপরাধপ্রবণ বস্তুবাদী মানুষগুলোর আত্মার সুস্থতার জন্য প্রয়োজন ধর্মীয় ডাক্তারের। আধুনিক শিক্ষার ফল সাময়িক ও অনেক ক্ষেত্রে তা মিথ্যার উপর প্রতিষ্ঠিত। পক্ষান্তরে, দ্বীনী শিক্ষার ফলাফল স্থায়ী ও সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত, যা দুনিয়া ও আখেরাতে কল্যাণ বয়ে আনে। অতএব, সমাজে শান্তির জন্য দ্বীনী শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। ধর্মীয় বা দ্বীনী শিক্ষাই হচ্ছে আসল শিক্ষা।
২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানটি শিশু শ্রেণি হতে কুল্লিয়্যাহ পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ১৭০০ জন। রাজশাহী মহানগরীর নওদাপাড়া (আমচত্বর) ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হতে প্রায় দুই কিলোমিটার পূর্বদিকে শাহমখদুম থানার পবা পোস্ট অফিসের অন্তর্গত ডাঙ্গীপাড়া গ্রামে এক মনোরম পরিবেশে প্রতিষ্ঠানটি অবস্থিত।"
২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানটি শিশু শ্রেণি হতে ছানোবিয়্যাহ পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ১২০০ জন। নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানার বিরাব পোস্ট অফিসের অন্তর্গত স্থানীয় বেলদী বাজারের প্রায় ১ কিলোমিটার পশ্চিমে বীরহাটাব-হাটাব গ্রামদ্বয়ের মধ্যস্থলে এক মনোরম পরিবেশে প্রতিষ্ঠানটি অবস্থিত।"
২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানটি শিশু শ্রেণি হতে কুল্লিয়্যা পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ৯০০ জন। রাজশাহী মহানগরীর নওদাপাড়া (আমচত্বর) ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হতে প্রায় দুই কিলোমিটার পূর্বদিকে শাহমখদুম থানার পবা পোস্ট অফিসের অন্তর্গত ডাঙ্গীপাড়া গ্রামে এক মনোরম পরিবেশে প্রতিষ্ঠানটি অবস্থিত"
২০২৩ সাল থেকে এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম আরম্ভ হয়। এই প্রতিষ্ঠানটি বৃহত্তম দিনাজপুর জেলার অন্তর্গত বিরল উপজেলার তেঘরা নামক স্থানে এক মনোরম পরিবেশে প্রতিষ্ঠানটি অবস্থিত।"